জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের কর্মসূচী

25th January 2021 9:00 pm বর্ধমান
জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসনের কর্মসূচী


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : দোরগোড়ায় এই রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন ।  তারই প্রাক্কালে সোমবার ঘটাকরে  ‘জাতীয় ভোটার দিবস’ পালিত হল পূর্ব বর্ধমান জেলায় ।ভোটার দিবস উপলক্ষে এদিন বেলায় জেলাশাসক এনাউর রহমানের দপ্তরে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় । ভোটার দিবস পালনের তাৎপর্য জেলাশাসক জনসমক্ষে তুলে ধরেন। পাশাপাশি হয় গণতান্ত্রিক ভারত রাষ্ট্রে ভোটারদের ক্ষমতায়ন ,নিরাপত্তা ও পক্ষপাতহীন ভোট নিয়ে শপথ বাক্য পাঠ । 
নতুন ভোটারদের সঙ্গে নিয়ে জেলার বিভিন্ন ব্লক অফিসেও জাতীয় ভোটার দিবস  উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় ।  নতুন ভোটাররা সেই অনুষ্ঠানে অংশ নেন । অনুষ্ঠান মঞ্চেই নতুন ভোটারদের হাতে  ভোটার পরিচয় পত্র তুলেদিয়ে আগামী গণতন্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসবে সামিল হবার আহ্বান  জানানো হয় । জেলাবাসীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান  জানিয়ে জেলাশাসক   এদিন  একটি সুসজ্জিত ট্যাবলোর সূচনা করেন। এছাড়াও ভোটার তালিকা  সংশোধনের কাজ দক্ষতার সংগে সম্পন্ন করার জন্য  প্রশাসনের আধিকারিক  ও কর্মীদের পুরস্কৃত করা হয়। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের চুড়ান্ত ভোটার তালিকা তৈরির কাজ পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন ইতিমধ্যেই  তৈরি করে ফেলেছে । জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এদিন জানিয়ে দেওয়া হয় নতুন তালিকা অনুযায়ী জেলায় ভোটার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪০ লক্ষ ৩৫ হাজার ৪২৪ জন ।তার মধ্যে পুরুষ রয়েছে ২০ লক্ষ ৪৭ হাজার ৯২৪ জন । আর মহিলা রয়েছেন ১৯ লক্ষ ৮৭ হাজার ৪১৫ জন  । এছাড়াও  প্রতিবন্ধী ভোটার সংখ্যা ১৯,৩০০ জন ও তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ৮৫ জন। জেলার ১৬টি বিধানসভার ভোটার সংক্রান্ত তথ্য এদিন  জেলা প্রশাসন প্রকাশ্যে আনে । জানা গিয়েছে  জেলার খণ্ডঘোষ বিধান সভার মোট ভোটার ২৪৩০৪৫ জন । তার মধে মহিলা  ১২০০২১ জন ও পুরুষ ১২৩০২৪ জন । বর্ধমান দক্ষিন বিধানসভায় মোট ভোটার ২৫৭৬৩৪ জন ।  তারমধ্যে পুরুষ ১২৭৪৪২ জন ও মহিলা ১৩০১৮৪ জন । রায়না বিধানসভায় মোট ভোটার ২৫৮৩৭২ জন । তারমধ্যে পুরুষ ১৩১২২৮ জন ও মহিলা ১২৭১৩৭ জন । জামালপুর বিধানসভায় মোট ভোটার ২৩৫৮৩৭ জন ।  তারমধ্যে পুরুষ ১১৯২০২ জন ও মহিলা ১১৬৬২৮ জন । মন্তেশ্বর বিধানসভায় মোট ভোটার ২৪২১২৮ জন ।  এরমধ্যে পুরুষ ১২৩০৭৯ জন ও মহিলা ১১৯০৪৫ জন । কালনা বিধানসভায় মোট ভোটার ২৪১০০৭ জন । তারমধ্যে পুরুষ ১২২৫৯০ জন ও মহিলা ১১৮৪১০ জন ।  মেমারি বিধানসভা মোট ভোটার ২৫৪৩৯২জন । মেমারিতে পুরুষ ভোটার ১২৭১৫৬ জন ও মহিলা ১২৭২২৫ জন ।বর্ধমান উত্তর বিধানসভায়  মোট ভোটার ২৭৬৭২৮ জন। 
তারমধ্যে পুরুষ ১৩৮১৬৪ জন ও মহিলা ১৩৮৫৬২ জন । ভাতার বিধানসভায় মোট ভোটার ২৪৬৪৫১ জন । এরমধ্যে পুরুষ ১২৪৩৯৬ জন ও মহিলা ১২২০৫৩ জন । পূর্বস্থলী দক্ষিন বিধানসভায় মোট ভোটার ২৪৮৩৬২ জন ।  তারমধ্যে পুরুষ ১২৭০৪৮ জন ও মহিলা ১২১৩১১জন । পূর্বস্থলী উত্তর বিধানসভায় মোট ভোটার ২৫২২৮১ জন । এরমধ্যে পুরুষ ১৩০৮৭৩ জন ও মহিলা ১২১৪০৪ জন । কাোটোয়া বিধানসভায় মোট ভোটার ২৬৭২৯৯ জন ।এরমধ্যে পুরুষ ১৩৬৪৬৭ জন ও মহিলা ১৩০৮১৮ জন । কেতুগ্রাম বিধানসভায় মোট ভোটার ২৫৭৬৩৪ জন । তারমধ্যে পুরুষ ১৩৩৩১১ জন ও মহিলা
১২৪৩১৫ জন । মঙ্গলকোট বিধানসভায় মোট ভোটার ২৫০৮২৮ জন । তারমধ্যে পুরুষ ১২৮৭২২জন ও মহিলা ১২২১০৩ জন । আউসগ্রাম বিধানসভায় মোট ভোটার ২৪৬৭৩২ জন । তারমধ্যে পুরুষ ১২৪৬৫৫ জন ও মহিলা ১২২০৭৪ জন । আর গলসি বিধানসভায় মোট ভোটার ২৫৬৬৮৮ জন । তারমধ্যে পুরুষ ১৩০৫৬৭ জন ও মহিলা ১২৬১১৯ জন বলে  ভোটার দিবসে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে ।  ২৫ জনুয়ারি একাদশ জাতীয় ভোটার দিবস উপলক্ষে জেলার  রায়না ২ ব্লকের নতুন ভোটারদের  হাতে ভোটার আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হয়। এছাড়াও এদিন সারাদিন ব্যাপি  বিভিন্ন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় । হাঁড়ি ভাঙ্গা প্রতিযোগিতা, সাইকেল র‍্যালি , অঙ্কন ,কুইজ প্রতিযোগিতা সহ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় পড়ুয়া ও নতুন ভোটাররা অংশ নেয় ।বিডিও পার্থসারথি রায়চৌধুরী অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ভোটারদের অধিকার সম্পর্কে অবহিত করার পাশাপাশি ভোটদানে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান ।





Others News

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা

MEMARI . একবছর আগে আবেদন করেও মেলেনি জাতিগত শংসাপত্র : হন‍্যে হয়ে ঘুরছেন মা


প্রদীপ চট্টোপাধ্যায় ( বর্ধমান ) : প্রায় এক বছর আগে আবেদন করেও মেয়ের জাতিগত শংসাপত্র মেলেনি । আবেদনকারীদের জাতি শংসাপত্র দেওয়ার
ক্ষেত্রে দেরি করা যাবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।কিন্তু বাস্তবে ঠিক তার উল্টোটাই ঘটে চলেছে।প্রায় এক বছর আগে  চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে  আবেদন করেছিলেন মা।কিন্তু মেয়ে কে পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসলেও জাতি  শংসাপত্র আজও না মেলায় কার্যত হতাশ হয়ে পড়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রাধাকান্তপুর নিবাসী ঊর্মিলা দাস।ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য ঊর্মিলাদেবী বৃহস্পতি বার মেমারি ১ ব্লক বিডিও অফিসে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন। শংসাপত্র পাবার জন্য বিডিও সাহেব কি ব্যবস্থা করেন সেদিকেই এখন তাকিয়ে ঊর্মিলাদেবী। 

বিডিওকে লিখিত আবেদনে ঊর্মিলাদেবী জানিয়েছেন ,তাঁর স্বামী মানিক দাস দৃষ্টিহীন প্রতিবন্ধী ।বছর ১০ বয়সী তাঁদের একমাত্র কন্যা গ্রামের বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণীতে পাঠরত কালে তাঁর ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য তিনি নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে চলতি বছরের ২৪ জানুয়ারী আবেদন করেছিলেন।  উর্মিলাদেবী বলেন ,তার পর থেকে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে  গেলেও তিনি তাঁর মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পান না।মেয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে ভর্তির সময় এগিয়ে আসায় গত অক্টোবর মাসের শেষের দিকে তিনি শংসাপত্রের বিষয়ে মেমারি ১ ব্লকের বিডিও অফিসে খোঁজ নিতে যান।জাতি শংসাপত্র বিষয়ের বায়িত্বে থাকা বিডিও অফিসের আধিকারিক তাঁকে অনলাইনে এই সংক্রান্ত একটি নথি বের করে আনতে বলেন । অনলাইনে সেই নথি বের করেনিয়ে তিনি ফের ওই আধিকারিকের কাছে যান । তা দেখার পর ওই আধিকারিক তাঁকে  ২০ দিন বাদে আসতে বলেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন , তিনি ২৫ দিন বাদে যাবার পর ওই আধিকারিক তাঁকে গোপগন্তার ২ গ্রাম পঞ্চায়েতে গিয়ে খোঁজ নেবার কথা বলেন । তিনি এরপর গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যান । নথি ঘেঁটে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে কোন ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি।ঊর্মিলাদেবী দাবী করেন ,এই ভাবে তিনি একবার বিডিও অফিস , আবার পঞ্চায়েত অফিসে দরবার করে চলেন । কিন্তু তাতে কাজের কাজ কিছু হয় না। মেয়ের ওবিসি শংসাপত্র পাবার জন্য  গত ১৩ ডিসেম্বর ফের তিনি বিডিও অফিসে যান ।ওই দিনও বিডিও অফিসের জাতি শংসাপত্র বিষয়ক বিভাগের আধিকারিক তাঁকে একই ভাবে পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে যেতে বলে দায় সারেন। পরদিন তিনি পঞ্চায়েত অফিসে খোঁজ নিতে গেলে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ ফের জানিয়ে দেয় তাঁর মেয়ের নামে  ওবিসি শংসাপত্র পঞ্চায়েতে আসে নি । কেন মেয়ের জাতি শংসাপত্র পাচ্ছেন না সেই বিষয়ে  না পঞ্চায়েত না ব্লক প্রশাসনের কর্তৃপক্ষ কেউই তাঁকে কিছু জানাতে পারেন । ঊর্মিলাদেবী বলেন ,পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তির আগে তার মেয়ে যাতে ওবিসি শংসাপত্র পেয়ে যায় তার ব্যবস্থা করার জন্য এদিন তিনি বিডিওর কাছে লিখিত ভাবে আবেদন জানিয়েছেন । মেমারী ১ ব্লকের বিডিও আলী মহম্মদ ওলি উল্লাহ এদিন বলেন ,“জাতি শংসাপত্র পাবার জন্য হাজার হাজার আবেদন জমা পড়ছে । তবে ঊর্মিলাদেবীর কন্যা দ্রুত যাতে বিবিসি শংসাপত্র দ্রুথ পান সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে “। মেমারির বিধায়ক মধুসূদন ভট্টাচার্য্য বলেন,’মেমারি  বিধানসভা এলাকার আবেদনকারীরা দ্রুত যাতে জাতি শংসাপত্র পান সেই বিষয়ে প্রশাসনকে আরও তৎপর হওয়ার কথা বলবো’।